চলতি মৌসুমের উদ্বৃত্ত আলুর ব্যবহার নিশ্চিতে ত্রাণ কার্যক্রমে আলু বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ১৯ আগস্ট ত্রাণ কার্যক্রমে আলু বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে আলাদা চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এর আগে ত্রাণসহ সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিকে আলু বিতরণের অনুরোধ জানিয়েছিলেন হিমাগার মালিকরা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে আলু উৎপাদন উত্তরোত্তর বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্যানুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে আলু উৎপাদনের পরিমাণ ছিল এক কোটি ১৩ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ বিদ্যমান। উৎপাদিত আলুর যথাযথ ও বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত প্রয়োজন। তাই, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমনকি হতদরিদ্রের মাঝে চাল, গম আটা এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আলুও বিতরণ করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন আলুর বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর চাহিদা পূরণ হবে এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত হবে।
এমতাবস্থায়, দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় ত্রাণ কার্যক্রমে চাল, গম আটা ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের তালিকায় আলুকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
গত ১০ আগস্ট সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধদল সাক্ষাৎ করে ত্রাণে আলু বিতরণের অনুরোধ জানান।
ওইদিন তারার জানান, চলতি ২০২১ মৌসুমে এক কোটি ১০ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। বিপরীতে দেশে আলুর চাহিদা ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টন। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে।