বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জয়নবের স্বামী আসলাম আলী ফোনে জানান, পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন তার স্ত্রী জয়নব বেগম। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কোন কথা শুনছিলেন না। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে চিকিৎসকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসকরা তাদের মারধর শুরু করে। এসময় অসুস্থ স্ত্রী জয়নব এগিয়ে এলে তাকেও তলপেটে লাথি মারে চিকিৎসকরা। ঘটনার পর জয়নবকে মেডিকেল থেকে নিয়ে শহরের ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ইসলামী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান জুয়েল জানান, জয়নব বেগমের তলপেটে কোনভাবে আঘাত লেগেছে। এতে ওই নারীর রক্তপাতও হয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শামিম জানান, মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তবে এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক জানান, ওই রোগীর স্বজনরা সুচিকিৎসা হচ্ছে না-এমন অভিযোগ তুলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তবে রোগীর স্বজনদের মারধর করা হয়নি।
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের বাগবিতণ্ডা হয়েছিলো। এক পরর্যায়ে শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। অন্তসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতাহাতি হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
নদী বন্দর / এমকে