‘স্যান্ডি’ নামের নতুন জাতের আমের দেখা মিলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের নাজমুল হকের বাড়িতে এ জাতের আম দেখা গেছে । এই আম গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১২ মাস গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে।
বাজারে আমের সময়ে যে সমস্ত জাতের আম পাওয়া যায় সে আমগুলোর স্বাদের দিক দিয়ে এর স্বাদ ভিন্ন। তবে এর ফলন খুব বেশি। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একসাথে গাছে আম ও মুকুল ধরে। তাই ১২ মাস পাওয়া যায় এই আম।
গাছের মালিক আম চাষি নাজমুল হক বলেন, প্রায় ১১-১২ বছর আগে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এ গাছের চারা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর কয়েক একর জমিতে আম বাগান ও নার্সারি করে আম বিক্রি ছাড়াও গাছের চারা তৈরি একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। নিজে এই আমের জাতের নাম না জানলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম স্যান্ডি বলে জানিয়েছে।
প্রতিদিনই মুকুল ফুটে আর একটি থোকায় অনেকগুলো আম আসে, আমের ভেতর আঁশ নেই, খেতে খুবই সুস্বাদু। এর ওজন প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের আবরণ খুব পাতলা এবং আমের রঙ হলদে হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান, নাজমুল হকের বাগানে যে আমগুলো রয়েছে তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লিচুর মতো এক থোকায় অনেকগুলো ধরে। আর ১২ মাস মুকুল আসে। একবার মুকুল ভেঙ্গে ফেললে ফের মুকুল হয়। আর এই আম খেতে অনেক স্বসাদু।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে আম চাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে স্যান্ডি গাছের চারাটি রোপণ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন। আমের ফলন ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে এ আমের নাম দেয়া হয়েছে স্যান্ডি। আগের আমগুলোর দাম না পাওয়ার নতুন আম চাষে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা।
নদী বন্দর / জিকে