1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সাগরে মিলছে না আশানুরূপ ইলিশ, হতাশ জেলেরা - Nadibandar.com
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১
  • ১৫০ বার পঠিত

ইলিশের ভরা মৌসুমেও সাগরে মিলছে না পর্যাপ্ত ইলিশ। এ কারণে সাগর থেকে ইলিশের পরিবর্তে বলতে গেলে হতাশা নিয়েই জেলার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে ফিরছেন জেলেরা। তবে মৎস্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সাগরে ইলিশের দেখা মিলবে।

দেশের মৎস্য সম্পদের মজুত বৃদ্ধি করতে সমুদ্র এলাকায় চলতি বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সমুদ্র এলাকায় সব ধরনের মাছ এবং চিংড়ি শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর আগে ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২১ দিন সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। পাশাপাশি পহেলা নভেম্বর থেকে আট মাস চলে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান।

তবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিলেও এবার ইলিশের ভরা মৌসুমেও সাগর মোহনায় পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা নেই। পটুয়াখালীর আলিপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরের ট্রলারগুলো অল্পসংখ্যক মাছ নিয়ে বন্দরে ফিরলেও এতে তাদের জালানিসহ অন্যান্য খরচের টাকাই উঠছে না বলে দাবি জেলেদের।

মহিপুর মৎস্য বন্দরের ট্রলার মালিক সোবাহান ফকির জানান, জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। এই সময়ে এ অঞ্চলের জেলেরা ইলিশের জাল নিয়ে সাগরে মাছ শিকার করেন। তবে এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন।

তিনি আরও বলেন, একটি ট্রলার একবার সাগরে মাছ ধরতে গেলে বাজার-সদাইসহ আনুষাঙ্গিক সব নিয়ে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করতে হয়। তবে সাত থেকে ১০ দিন সাগরে মাছ ধরে যখন বন্দরে আসে তখন দেখা যায় যে মাছ পাওয়া যায় তাতে ট্রলারের খরচ টাকাই ওঠে না। এমন চলতে থাকলে অনেক ট্রলার মালিককে পথে বসতে হবে।

জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পটুয়াখালী জেলায় ৬৪ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৬৭ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। সেই হিসাবে এবার ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। তবে বাস্তব চিত্র একেবারে ভিন্ন। ট্রলারে মধ্যসাগরে যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে জালানি এবং অন্যান্য খরচ তুলতেই কষ্ট হচ্ছে ট্রলার মালিকদের। আর যেসব ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকা আগে দিনে দুইবার সাগরে মাছ শিকারে যেত, মাছ না থাকায় এখন একবার সাগরে যাচ্ছে।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ রয়েছে, তবে যেহেতু এ বছরের শুরুতে টানা সাতমাস বৃষ্টি হয়নি, সে কারণে ইলিশ গভীর সাগর থেকে এখনও তীরে ফেরেনি। পানির লবণাক্ততা কমলে এবং বৃষ্টিপাত বাড়লে খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলায় অন্তত ৭০ হাজার জেলে সরাসরি সাগরে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া বরফকল, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাল তৈরি-মেরামতসহ আনুষাঙ্গিক কাজে আরও কয়েক লাখ পরিবার সরাসরি এসব কাজে জড়িত। তবে সাগরে পর্যাপ্ত মাছ না পাওয়ায় এসব পরিবারকে কষ্ট করে দিনযাপন করতে হচ্ছে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com