1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
‘এত দ্রুত নদী ভাঙে ঘর সরাইয়া নেওয়ারও সুযোগ পাই না’ - Nadibandar.com
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন পাইলটের মৃত্যু উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১৯, জানালো ফায়ার সার্ভিস বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তারেক রহমানের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা বিমান বিধ্বস্ত: নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জামায়াত আমিরের এবার রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিমান বিধ্বস্তে আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন ‘একটু বলেন আমার মেয়ে কোথায় আছে’, সন্তানের খোঁজে মা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্নে ২ মরদেহ, নারী ও শিশুসহ ৫০ জন চিকিৎসাধীন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১
  • ২০৩ বার পঠিত

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে টানা পানি বাড়ছে। এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানি ঢুকে পড়েছে নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে পাঁচদিনে প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদীতে ধসে পড়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার শিল্পী জানান, বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে পদ্মানদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুন্ডেরচর ইউনিয়নের বাবুর চর, ব্যাপারী কান্দি, খাঁ কান্দি, লুডু মাদবর কান্দি, আপতু ব্যাপারী কান্দি ও মৃধা কান্দি গ্রামের পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় অন্তত ১০০টি বসত ঘর, ফসলি জমিসহ গাছপালা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে আতঙ্কিত পরিবারগুলো।

 

লুডু মাদবর কান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান রাঢ়ী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে নদী ভাঙন শুরু হইছে। আমাদের আশেপাশের সব বাড়িঘর ভেঙে গেছে। আমাদের টাও নদীতে নিয়ে গেছে। এত দ্রুত ভাঙছে যে ঘর সরাইয়া অন্য জায়গায় নেওয়ার সুযোগ পাইনা। এমনে ভাঙতে থাকলে আমাদের এলাকায় কোন বাড়ি ঘরই থাকবো না। আমরা এখন বাজারের পাশে একটা খালি জায়গায় নিয়ে ঘরগুলো রাখছি।’

একই গ্রামের বাসিন্দা শহরবানু বলেন, ‘সারাটা জীবন গেল ভাঙতে ভাঙতেই। এই জীবনে কতবার যে বাড়ি ঘর ভাঙছে তার কোন হিসাব নাই। মেম্বার চেয়ারম্যানরা আসতো কিছু চাল ডাল দিয়া যাইতো ওই পর্যন্তই শেষ। আর কেউ কোনো খোঁজখবর নিতো না। প্রতিবারই বর্ষা আইলে ভাঙে। ভাঙতে ভাঙতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আর কোন ত্রাণ বা সাহায্য সহযোগিতা চাই না। এখন চাই শুধু নদী ভাঙন থেকে বাঁচতে। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের এইখানে যেন বেড়িবাঁধ কইরা দেয়। তাইলে আমরা পয়-পোলাপান নিয়ে থাকতে পারুম।’

 

১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার খাদিজা বেগম বলেন, চার-পাঁচ দিন যাবত এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। চোখের পলকেই বাড়িঘর নদীতে নিয়ে যায়। কেউ সরাতে পারে, কেউ পারে না। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে এই চর এলাকা থাকবে না।

স্থানীয় এনজিও এসডিএসে এর জোনাল ম্যানেজার মো. মনির হোসেন বলেন, কুন্ডেরচর এলাকায় নদী ভাঙন শুরুর সময় থেকেই এসডিএস ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে তাৎক্ষণিকভাবে দুটি ট্রলারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

 

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় কুন্ডেরচর ইউনিয়নের প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। এর আগে ওই এলাকায় জিওটিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছিলো। আবার ওই এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলা হবে।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করতে মেম্বার চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা পেলেই ত্রাণ সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নদী বন্দর / এমকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com