সৌদি আরবের উন্নত জাতের খেজুরের চারা উৎপাদন হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামায়। উপজেলার গোবিন্দপুর কলেজপাড়ার হাজি মো. রবিউল হাসান রাজু তার নার্সারিতে এ চারা উৎপাদন করছেন।
২০০৪ সালে তিনি সংসারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে সৌদি আরবে যান। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর থাকাকালে হাতে-কলমে খেজুর চাষের কলাকৌশল রপ্ত করেন এবং ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন। পরে বাড়িসংলগ্ন একটি জমিতে আত্রাই নার্সারি নামে একটি চারা উত্পাদনকেন্দ্র গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি উন্নত জাতের আজোয়া, মরিয়ম, আম্বার, সুক্কারি ও রয়েল মাদানি খেজুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন শুরু করেন। চারা উৎপাদনকারী রবিউল হাসান রাজু বলেন, ‘সৌদি আরবে থাকাকালে খেজুর উৎপাদনের প্রতি আকৃষ্ট হই এবং চাষের বিষয়টি রপ্ত করি। দেশে আসার পর শাইখ সিরাজের প্রতিবেদন দেখে গাজীপুরে নজরুল ইসলাম বাদলের খেজুরবাগান দেখে আসি। সব মিলে খানসামায় খেজুর চাষের বিষয়টি চিন্তা করে এসব নামকরা জাতের খেজুরের চারা উৎপাদন করেন।’ বর্তমানে কিছু চারার বয়স দেড় থেকে দুই বছর এবং কিছু চারার বয়স ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দেড় ফুট উচ্চতার এসব চারা রোপণের উপযোগী হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জেলা হর্টিকালচারের উপপরিচালক এজামুল হক জানান, পর্যাপ্ত রোদ, কম আর্দ্রতা, শুকনো, উষ্ণ আবহাওয়াপূর্ণ এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি খেজুর চাষের উপযোগী। সরকারিভাবে আরব দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের উন্নত খেজুরের চারা আমদানি করে জেলার হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলক লাগানো হয়েছে। মাটির গুণগত এবং আবহওয়ার দিক থেকে দিনাজপুর অঞ্চল খেজুর চাষের উপযোগী। আশা রাখি এই অঞ্চলে খেজুরের চাষ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
নদী বন্দর / বিএফ