রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজের এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৭শ ৪৯টি টিকা গ্রহন করেছেন ।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জনের নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে এর মধ্যে ১ জনের করোনা সনাক্ত হযেছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭শ ৮২ জনের এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫শ ৪ জনের, এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। আইসোলেশনে রয়েছে ৭৫ জন।
২৪ জনের মধ্যে প্রথমে যে জন মারা গেছেন তারা হলেন, মতিউর রহমান (৬২), পিতা ইয়াসিন, গ্রাম খেতুর, প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী। কালাম (৩৩), পিতা নূর মোহাম্মদ, বাসুদেবপুর, গোদাগাড়ী, রাজশাহী, মনোয়ারুল হাসান (৬৫), পিতা ফা-মজিদ হোসেন, ডুমোরিয়া, প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী। মোঃ মোশারফ (৬০), ডুমোরিয়া, প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
গত ২৭ জানুয়ারী দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম বেশ ভালভাবে চলছে।
২৯ আগষ্ট রবিবার সকাল সাড়ে ১২ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, কর্মচারী, হজ্ব গমনে নেয়াত করা নারী পুরুষ, প্রশাসনের কর্মকতা কর্মচারীসহ সাধারনের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার সরকারের সাথে ইউ এইচ এন্ড এফপিও ডা. মোঃ আবু তালেবের অফিসে কথা হয় এ প্রতিবেদকের তিনি বলেন, টিকার জন্য সরকার যে বয়স নির্ধারন করে দিয়েছেন সাবাইকে রেজিষ্টেশন করে টিকা গ্রহন করতে হবে এবং সচেতন হতে হবে, বাড়ী থেকে বের হলেই মাস্ক পরিধান করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বার, বার, সাবান পানি দিয়ে হাত, মুখ,ধৌত করতে হবে।
গোদাগাড়ী পৌরসভা আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমানের সাথে ইউ এইচ এন্ড এফপিও ডা. মোঃ আবু তালেবের অফিসে কথা হয় এ প্রতিবেদকের তিনি বলেন, লকডাউনে করোনা ভাইরাস কমেছে, সবাইকে সচেতন হতে হবে, বাড়ী থেকে বের হলেই মাস্ক পরিধান করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বার, বার, সাবান পানি দিয়ে হাত, মুখ,ধৌত করতে হবে। তিনি আরও জানান, আজ আমি ও আমার স্ত্রী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছি সুস্থ্য আছি, কোন প্রকার আসুবিধা হয় নি। কোন আপপ্রচারে কান না দিয়ে সকলের টিকা গ্রহন করা উচিৎ।
গোদাগাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী মহল্লার গৃহবধু মোসাঃ জোহরুন নেসা বলেন, , আমি নিজের মোবাইলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম , রশিদ নিয়ে এসে আজকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে নিলাম, মোবাইলে ম্যাসেজ আসার পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিব ইনসাল্লাহ। সুস্থ্য আছি, ভাল লাগলো সবার গ্রহন করা প্রয়োজন। ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করবো ইনসাল্লাহ । একই মন্তব্য করেন তেল মিল ব্যবসায়ীর অপু।
এবছর হজ্ব গমন ইচ্ছুক আব্দুল মাতিন বলেন, মোবাইলে ম্যাসেজ আসার পর গত শনিবার দ্বিতীয় ডোজের টিকা আমি ও আমার স্ত্রী জিন্নাতুন নেসা গ্রহন করেছি । সুস্থ্য আছি, স্বাভাবিক কাজ কাম করচ্ছি কোন প্রকার অসুবিধা হচ্ছে না।
ইউ এইচ এন্ড এফপিও ডা. মোঃ আবু তালেব বলেন, প্রতিদিন ৮শ থেকে ১১শ মানুষ টিকা গ্রহন করছেন, মানুষের চাপ সামাল দিতে হচ্ছে কর্মকর্তা, কর্মচারীগণকে মানুষের মধ্যে ভ্যান্ত ধারনা, অপপ্রচার ছিল। সে অপপ্রচার দূর হয়েছে। যারা এখানে যারা টিকা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ্য আছেন, ডাক্তার, নাস, মাঠ পর্যারের কর্মীরা ঠিকা গ্রহন করেছেন। তাই এলাকার মানুষকে নির্ভয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেমতলীতে এসে টিকা গ্রহনের অনুরোধ জানান, এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ীর মানুষকে এ ভাইরাসের ব্যপারে সচেতন হতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ দিয়ে সচেতন করা সম্ভাব হবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর জনসাধারণকে সচেতন করবেন। মসজিদের ইমামগণ প্রতিটি মসজিদে মানুষকে সচেতন করবেন। গরীব, খেটে খাওয়া মানুষদের সরকারের পাশাপাশি এলাকার আবস্থাশালী মানুষদের সহযোগিতার করতে হবে। মাস্ক, সাবান ফ্রি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
গোদাগাড়ীতে প্রথম ডোজ ২৬ হাজার ৫ শ ১৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজের এ পর্যন্ত ১১হাজার ২শ ৩১ টি টিকা মানুষ গ্রহন করেছেন। এছাড়া নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৭শ ৮২ জনের এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ শ ৪ জনের, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৩শ ৯৫ জন।
নদী বন্দর / বিএফ