সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় বাস্তবায়ন ও পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর-২, আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব নজরুল ইসলাম।
সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গনি, ত্রাণ ও পুনবাসন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-উর-রশিদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার নির্দেশদাতা ও হামলায় অংশগ্রহণকারীদের আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানান। এ সময় আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ধর্ষিতা মাহফুজা খাতুনকে স্বচক্ষে দেখে গাড়ীতে যশোর ফেরার পথিমধ্যে কলারোয়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে গুলি ও বোমা হামলা চালায়।
এ হামলায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও তার কয়েকজন সফরসঙ্গী আহত হন। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করলে মামলাটি রেকর্ড না হওয়ায়, তিনি নালিশী আদালত, সাতক্ষীরায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবেক সাংসদ বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই মামলায় ৫০ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করেন।
এ মামলায় বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৪ জন জেল হাজতে, ১৫ জন পলাতক এবং এক জন জেলে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
নদী বন্দর / জিকে