উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জামালপুরে নদীর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক সেন্টিমিটার করে প্রতিদিন বাড়ছে পানি। এতে জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যায় প্রায় ১৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেশকিছু কাঁচা-পাকা সড়ক ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমনের বীজতলাসহ সবজি ক্ষেত। ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও উঠেছে পানি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুদিনে সর্বোচ্চ ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তবে ১ তারিখের পর পানি আবারও কমতে শুরু করবে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেওয়ানগঞ্জ এবং ইসলামপুরের নিম্নাঞ্চলগুলো।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান জানান, উপজেলার ২০ হেক্টর আমন ধানসহ পানিতে ডুবে গেছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে না কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৯ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৩৫ লাখ টাকা বিতরণের ব্যবস্থা চলছে। এছাড়া আরও ৩৬৩ মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে