নদী তীরের জায়গা জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেয়ায়, অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ বা নিলাম না দিয়েই অনেকটা ঢিলেঢালা ভাবে চলছে বিআইডব্লিউটিএর অভিযান। রাজধানীর গাবতলী এলাকার কয়লা ও বালু ওঠানামার ঘাটে অভিযানে গিয়ে এমন বাধার মুখে পড়ে সংস্থাটি। জেলা পরিষদ কীভাবে নদী তীর ইজারা দেয় সে প্রশ্নের উত্তর নেই বিআইডব্লিউটিএর কাছেও।
নতুন বসানো স্থায়ী সীমানা পিলারের মধ্যে থাকা এমন বিশাল বিশাল কয়লা ও বালুর স্তূপ না সরিয়ে কিংবা নিলাম না দিয়েই বুধবার উচ্ছেদ অভিযানে সামনের দিকে যায় উচ্ছেদকারী দল। বিআইডব্লিউটিএর অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অনুমোদন না নিয়েই গাবতলী অংশের তুরাগ তীর স্থায়ীভাবে দখল করে ব্যবসা করছে শত শত কয়লা ব্যবসায়ী।
উচ্ছেদ অভিযানে গেলেও এদিন জোরালো ভূমিকায় দেখা যায়নি সংস্থাটিকে। দুই একটি স্থাপনা ভেঙে শুধু ওয়াকওয়ের পাশ দিয়ে এদিন মাটি ও বালু সরাতে দেখা যায়। দখলদারদের অভিযোগ, নদী তীরের জায়গা তারা ঢাকা জেলা পরিষদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছেন।
এক দখলদার জানান, আমরা এটা ক্রয় অথবা দখল করিনি। আমরা এই জায়গা জেলা পরিষদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছি।
এমন পরিস্থিতিতে বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, বিষয়গুলো আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করে সব দখলমুক্ত করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলী জানান, আদালতে একটি আদেশ থাকে, সেই আদেশের প্রতি সম্মান রেখেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হয়। আদালতের নির্দেশনা থাকায়, এখন উচ্ছেদ পরিচালনা করতে পারছি না। কিন্তু অচিরে আমরা আদালতের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের পর ওয়াকওয়ের পাশে গাছ লাগিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।
নদী বন্দর / জিকে