1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মাল্টা ও লেবু চাষে লাখোপতি সালাউদ্দিন - Nadibandar.com
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হাতিয়ায় জোয়ারে ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আইন আরও কঠোর করছেন ট্রাম্প বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ নেতা বহিষ্কার ১৭৩ যাত্রী নিয়ে ওড়ার আগমুহূর্তে বিমানে আগুন ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনির মৃত্যু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ ২০২৪ সালে বিএনপির সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আয়ের উৎস জানালেন রিজভী নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিলো বিএনপি গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি, আটক ৫ বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৯৬ বার পঠিত

সালাউদ্দিন মোল্লা ঢাকার ফকিরাপুলে মিষ্টির ব্যবসা করতেন। এতে লাভও ভালো হতো। মিষ্টির ব্যবসা ভালো চললেও পরে সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে গ্রামে গিয়ে মাল্টা ও লেবু বাগান করবেন। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্ত প্রথমে পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারেননি।

তবে সালাউদ্দিন দমে যাওয়ার পাত্র নন। ২০১৩ সালে ৫০ শতক জমি লিজ নিয়ে ৩০০টি লেবু গাছ দিয়ে লেবু চাষ করেন এবং ২০১৮ সালে দুই একর ৪০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে এক হাজার ৩০০টি গাছ দিয়ে মাল্টার বাগান করেন। মাত্র এক বছরে লেবু ও দুই বছরে মাল্টা চাষে তিনি আজ সফল লেবু ও মাল্টা চাষি। বছরে তার বাগান থেকে প্রায় বিশ লাখ টাকার মাল্টা ও লেবু বিক্রি হয়। এই বাগানগুলোতে হওয়া লেবু ও মাল্টা চারা বিক্রি করে তিনি আরও চার লাখ টাকা পান।

 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আনু সরকার কান্দি গ্রামের মো. কাশেম মোল্লার ছেলে সালাউদ্দিন মোল্লা (৪৫)।

টাঙ্গাইল জেলায় লেবু ও মাল্টা চাষের একটি বাগান দেখে তিনি এই ফল চাষে আগ্রহী হন। ২০১৩ সালে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে লেবু ও মাল্টার বাগান শুরু করেন। বর্তমানে তিনি সাত একর ৯০ শতক জমিতে লেবু ও দুই একর ৪০ শতক জমিতে মাল্টার বাগান করেছেন। সেখানে আছে ৭ হাজার ৬০০ লেবু ও এক হাজার ৮০০ মাল্টাগাছ গাছ।

 

সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, লেবু ও মাল্টা চাষে তার বেশ আগ্রহ। তার বাগানে চায়না থ্রি, সিলকেট লেবু এবং পাকিস্তানি বেড়িকাটা মাল্টা ও ভারতীয় প্রলিত মাল্টা জাতের গাছ আছে। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যে লেবু ও দুই বছরের মধ্যে মাল্টা ফলন শুরু হয়। বর্তমানে তার বাগান পরিচর্যার জন্য বারোজন লোক কাজ করেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক মাল্টা-লেবু বাগান করে বেকারত্ব দূর করছেন।

সালাউদ্দিন মোল্লার বাবা কাশেম মোল্লা এখন পাশাপাশি ছেলের লেবু ও মাল্টা বাগানেও কাজ করেন। তার বাগানের নাম রেখেছেন ‘মোল্লা লেবু ও মাল্টা বাগান’।

 

তিনি নিজের বাগানে মাতৃগাছ থেকে বাকল দিয়ে ‘গ্রাফটিং’ করে চারা উৎপাদন করেন। তিনি বলেন, এ বছর প্রায় ২০ লাখ টাকার লেবু এবং আড়াই লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তার লেবু ও মাল্টা নিজ এলাকা ছাড়িয়ে শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে গেছে। দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা তার বাগানের লেবু ও মাল্টা কিনে নিয়ে বিক্রি করেন। বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি মাল্টা ১২০ ও ৮০ পিচ লেবু ৩০০ টাকা দরে কিনেন ।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সালাউদ্দিন তার মাল্টা বাগানের পরিচর্যা করছেন। বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে সেলফি তুলছেন। কিনে নিচ্ছেন মাল্টা ও লেবু।

 

শেখ খলিলুর রহমান, কালু মোল্লা, সাদ্দাম হোসেন ও ফিরোজ আহম্মদ ঢালী বলেন, বাজার থেকে মাল্টা কিনে খেয়েছি। তার তুলনায় এখানকার নতুন বাগানে চাষ করা মাল্টার স্বাদ বেশি ভালো এবং মিষ্টি বলে মনে হয়েছে। এছাড়া তার বাগানের লেবু কিনেছি, খাঁটি লেবু।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা ইসলাম বলেন, সালাউদ্দিন মোল্লার বাগানে আমি গিয়েছি। তার উৎপাদিত মাল্টা আকারে বড় ও মিষ্টি। তাছাড়া তিনি লেবু চাষেও বেশ সফল। তিনি কৃষি কার্যালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন।

নদী বন্দর / পিকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com