ডুবোচর আর কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল। পানির গভীরতা কমায় জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে চলছে ফেরি। অর্ধেকে নেমে এসেছে গাড়ি পারাপারের সংখ্যা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রুটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রুটটি সচল রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
মেঘনা নদী থেকে মজু চৌধুরীর ঘাটে ঢুকতেই বুড়িরখাল ও রহমতখালী চ্যানেলে প্রতিদিন ভাটার সময় ফেরিগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। একবার আটকালে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। রো রো ফেরি চলাচলের জন্য পানির গভীরতা কমপক্ষে তিন মিটার দরকার। কিন্তু ভাটার সময় মতির খাল, বুড়িরখাল, রহমতখালী ও ক্যাম্প খালের দুই কিলোমিটার এলাকায় এক থেকে দেড় মিটার পানি থাকে। তাই অনেকটা জোয়ারের ওপর নির্ভর করেই গত একমাস ধরে চলাচল করছে ফেরি।
ফেরি কনকচাপার মাস্টার মুন্সি আজিজুর রহমান বলেন, নাব্যতা খুবই কম যার ফলে আমাদের জোয়ার ভাটায় চলাচল করতে হয়। এর কারণে ট্রিপ কমে গেছে।
সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ এ রুটে ড্রেজিং শুরু করলেও নৌযানের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে পারেনি এখনও। ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় রাজস্ব কমছে বলে জানান বিআইডব্লিউসিটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক কে.এম এমরান।
তিনি বলেন, আগে ছয়টা করে রাউন্ড দিতে পারতো আর এখন সেখানে সিঙ্গেল ট্রিপ দিতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ নাব্যতা সংকট।
ফেরি চলাচল কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘাটের দুইপাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।
তবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দেন বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে খনন কাজের প্রকল্প গ্রহণ করেছি। আর বাকি যে নাব্যতা বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব অধীনে খননের কাজ চলছে।
ভোলা -লক্ষ্মীপুর রুটে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ যানবাহন পারাপার হয়। নাব্য সংকটে তা একশ’র নিচে নেমে এসেছে।
নদী বন্দর / পিকে