পদ্মাবিধৌত রাজবাড়ী জেলার ৮৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে প্রমত্তা পদ্মা। প্রতি বছর পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয় বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। মূলত বর্ষার শুরু ও শেষে ভাঙনের তীব্রতা দেখা যায়।
কয়েকদিন ধরে রাজবাড়ী অংশে পদ্মার পানি দ্রুতগতিতে কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পাংশা সেনগ্রাম পয়েন্টে পানি কমলেও বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। তবে পানি কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে সদরের মহেন্দ্রপুর পয়েন্টের পানি।
দুই দফায় বর্তমানে প্রায় এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়েছে রাজবাড়ী অংশের পদ্মায় বন্যার পানি। এখন পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক।
সম্প্রতি রাজবাড়ী সদরের গোদার বাজার অংশে নদীর ডান তীররক্ষা বাঁধে ধস ও দৌলতদিয়া লঞ্চ-ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ।
পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় সন্তান-পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে থাকা-খাওয়া, চলাচলসহ অনেক কষ্ট করতে হয়। এখন যদি আবার নদী ভাঙে, তাহলে তারা কোথায় যাবেন? সব সময়ই তাদের কষ্ট। এখন তারা ভাঙনের ভয়ে আছেন। স্থায়ীভাবে নদী শাসন ও ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তারা।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, পদ্মার পানি কমার সময় ভাঙনের শঙ্কা থাকে। এজন্য আমরা সর্তক রয়েছি। কাজের জন্য ঠিকাদারদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যেখানে ভাঙন দেখা দেবে সেখানেই কাজ করা হবে। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বতর্মানে পদ্মার পানি কমলেও এখনও অনেক জায়গায় বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। যেভাবে পানি কমছে, তাতে দ্রুত বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে। পদ্মার পানি বাড়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
নদী বন্দর / এমকে