প্রেমিককে বিয়ে করতে চাওয়ায় ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের রোহতকে নিজের মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে তার বাবা। এসময় মেয়ের প্রেমিককেও গুলি করেছে ওই ব্যক্তি। গুরুতর আহত প্রেমিক রোহতকের পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার রোহতক-দিল্লি মহাসড়কে একটি ব্যস্ত শপিংমলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মোহিত ও পূজা ওই সময়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পরিবারের সঙ্গে আদালতে যাচ্ছিলেন।
মোহিতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিহত পূজা তার প্রেমিক মোহিত দুজনই হরিয়ানার জাট সম্প্রদায়ের। তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তবে ভিন্ন ভিন্ন গ্রামের হওয়ায় পূজার বাবা কুলদীপ কোনোভাবেই এ বিয়েতে রাজি ছিলেন না।
একপর্যায়ে পূজা পরিবারকে ছেড়েই মোহিতকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। এজন্য মোহিতের পরিবার পূজাকে নিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করাতে যাচ্ছিলেন। এসময় বিয়েতে প্রথমে নারাজ পূজার বাবা মেয়েকে শেষবারের মতো আর্শীবাদ দেয়ার অজুহাতে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান।
মোহিতের মা জানান, কুলদীপ প্রথম থেকেই মোহিত ও পূজার সম্পর্ক মেনে নেয়নি। যখন পূজা পরিবার ছেড়ে মোহিতকে বিয়ে করার কথা জানায়, তখন পূজার বাবা তাদেরকে আর্শীবাদ দিতে রাজি হয়। এটা ছিল পূজা ও মোহিতের সঙ্গে তার দেখা করার অজুহাত। পূজাকে নিয়ে পরিবারসহ আমরা যখন বিয়ের জন্য আদালতে যাচ্ছিলাম, তখন কুলদীপ গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। পূজা ও মোহিত গুলিবিদ্ধ হলে কুলদীপ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
রোহতকের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা সৃজন সিং জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের ফরেনসিক টিম সেখানে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে।
তবে পুলিশ বলছে, মেয়েটির পরিবারের কেউ গুলি ছুঁড়েছে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অভিযুক্ত পূজার বাবা কুলদীপ কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি তদন্তাধীন।
সূত্র: এনডিটিভি
নদী বন্দর / জিকে