অন্যান্য ফল চাষে কম-বেশি ঝুঁকি থাকলেও, মাল্টা চাষ অনেকটাই সুবিধাজনক। এ কারণে মাল্টা চাষে অনেকেই ঝুঁকছেন। তাদেরই একজন পিরোজপুর সদর উপজেলার দূর্গাপুরের হান্নান শেখ। তিনি পিরোজপুরের নাজিরপুরের বলিবাবলা গ্রামে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তুলেছেন মাল্টার বাগান।
হান্নান শেখ মাল্টা বাগান করে অল্প সময়ে পেয়েছেন প্রত্যাশিত সাফল্য। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
প্রায় ৪ বছর পূর্বে ৭ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ শুরু করেন ব্যবসায়ী হান্নান শেখ। গাছ রোপণের পরের বছরই ফলন পেতে শুরু করেন হান্নান। এরপর থেকে প্রতিবছরই তিনি ওই জমি থেকে নিয়মিত মাল্টা পাচ্ছেন। আর এ মাল্টা বিক্রি করে লাভবানও হয়েছেন তিনি। মাল্টার পাশাপাশি তার একই জমিতে মাছের ঘের, মুরগি, গরু ও ছাগলের খামার রয়েছে।
প্রায় একযুগ আগে পিরোজপুরে বাণিজ্যিকভাবে বারি-১ প্রজাতির মাল্টা চাষ শুরু হয়। এরপর এ মাল্টাকেই জেলা ব্র্যান্ডি করা হয়। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মালটা খুচরা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু হান্নানই নন, বর্তমানে মাল্টা চাষের প্রতি ঝুঁকেছেন এ জেলার অনেক চাষি ও বেকার যুবকরা।
মাল্টা চাষে কোনো এখন পর্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছেন হান্নান শেখ। এ কারণে মাল্টা চাষ আরও সম্প্রসারণের আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারেও মাল্টার অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন এ চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পিরোজপুরে প্রথমে শখের বশে কেউ কেউ মাল্টা বাগান করতেন। বর্তমানে জেলায় প্রায় ৯৫০টি মাল্টা বাগান রয়েছে। জেলায় বর্তমানে ১২৭ হেক্টর জমিতে মাল্টার বাগান আছে।
নদী বন্দর / বিএফ