মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভাঙছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। এতে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়তে হচ্ছে যানবাহন চালক ও পথচারীদের।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনার ভাঙনকবলিত উপজেলা কমলনগর। প্রতিনিয়তই ভাঙছে উপকূলীয় এ জনপদ। প্রতিদিনই নিঃস্ব হচ্ছে কেউ না কেউ। এ উপজেলার ১৭ কিলোমিটার মেঘনা এলাকার মধ্যে মাত্র দেড় কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ রয়েছে। বাকি এলাকা অরক্ষিত। এতে ভাঙনের পাশাপাশি পূর্ণিমা ও অমাবস্যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এ জোয়ারের প্রবল স্রোতে কৃষকের স্বপ্ন ফসল নষ্ট হয় এবং ভেঙে যায় রাস্তাঘাট।
গত পাঁচদিনের অমাবস্যার জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এ উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনির বেশ কয়েকটি কাঁচা ও পাকা রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়৷ এতে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কয়েকজন বাসিন্দা জানান, জোয়ার এলেই বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের পানিবন্দি থাকতে হয়৷ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব আতংকে থাকতে হয়। সাপসহ বিষাক্ত প্রাণীর ভয়ে খাট কিংবা চকি থেকে নামতে ভয় হয়। কবে এ মেঘনার তাণ্ডব থেকে মুক্তি পাবেন এ চিন্তায় দিন পার করছেন তারা।
চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়েফ উল্যাহ বলেন, গত কয়েক দিনে আমার ইউনিয়নের নাছিরগঞ্জ বাজারে দোকানগুলো মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারে কয়েকটি রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটগুলো এখন মেঘনার দখলে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জোয়ারের পানিতে কয়েকটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে।
নদী বন্দর / এমকে