বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের ওপর থেকেও এর প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও এখন কমে যাবে, সেই প্রেক্ষাপটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, উড়িষ্যা-ঝাড়খন্ড ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে আরও দুর্বল হয়ে বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর মধ্যপ্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগে অন্যান্য বিভাগের চেয়ে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি ছিল। এসময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়, ১০৬ মিলিমিটার। ঢাকায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে, ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নদী বন্দর / জিকে