বিএনপি অন্ধকারে থাকে, এজন্য চারদিকে অন্ধকার দেখে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বছরের শেষদিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নেন মন্ত্রী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সবসময় অন্ধকারের মধ্যে থাকে। এজন্য চারদিকে অন্ধকার দেখছে। তারা বাইরের আলোতে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে না।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি ভোট বাতিল করে নতুন নির্বাচনের কথা বলে আসছে। প্রতিবছর শেষে তারা বলেন- আগামী বছর চ্যালেঞ্জের। কিন্তু বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব জনগণের কাছাকাছি যেতে পারেনি। উল্টো জনগণ থেকে ক্রমেই তারা দূরে সরে যাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১২ বছরে দেশের জনগণ বহুদূর এগিয়ে গেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশের বড় অর্জন পদ্মসেতু। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। এ বছরের আরও বড় অর্জন হলো- করোনাকালেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ১ হাজার ৯০০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ ডলার। এসব বিএনপি নেতাদের চোখে পড়ে না। কারণ তারা তো অন্ধকারের মধ্যে আছে। চোখ থাকতেও তারা চোখ বন্ধ করে আছেন। আমি আশা করি- আগামী বছর তারা চোখ খুলবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আগামী বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। আশা করি- আগামী বছর বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরবে। তবে সেই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
‘সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা’ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো আমরা অতীতেও মোকাবিলা করেছি, আগামীতেও করব।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বের করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। দলের ভেতরে সুযোগ সন্ধানীরা থাকলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দলীয় পদ থেকে বাদ দেয়ার কাজ আমরা শুরু করেছি। আগামীতেও সেটি অব্যাহত থাকবে।
নদী বন্দর / পিকে