গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপে শপেবল লাইভস্ট্রিম ফিচার চালু করছে। আজ থেকে লাইভস্ট্রিম প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতারা দারাজের রিয়েল-টাইম কনটেন্ট দেখতে পাবেন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতারা একে অপরের সাথে আরও সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন।
এই লাইভস্ট্রিম ফিচার ছাড়াও, নতুন ইউজার ইন্টারফেসে ক্রেতারা বিক্রেতাদের সাথে কমেন্টের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হতে পারবেন। এতে পণ্য উপস্থাপন, ট্রিভিয়া গেইম ও প্রশ্নোত্তর সেশন সহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট থাকবে।
উল্লেখ্য , এই প্রযুক্তির কল্যানে ক্রেতারা সরাসরি দারাজ অ্যাপেই সেলারদের অধিক রেটিং যুক্ত পন্যের রিভিউ ভিডিও লাইভ দেখতে পারবেন এবং পন্য সম্পর্কে সকল প্রশ্ন লাইভেই করে সরাসরি সেলারদের কাছ থেকে অথবা ইন্ডস্ট্রি এক্সপার্টদের কাছ থেকে জানতে পারবেন। লাইভ চলাকালীন সময়ে দারাজে থাকবে আকর্ষণীয় সব অফার যা শুধুমাত্র লাইভে যোগ দিলেই পাওয়া যাবে। তাছাড়াও এই প্ল্যাটফর্মে থাকবে গেইম শো, কমেডি নাইট, ক্যারিয়ার টক শো সহ আরো অনেক এপিসোড।
বৈশ্বিক মহামারি যখন রিটেইল খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, সে সময় এই নতুন ফিচারগুলো ডিজিটাল ব্যবসায়িক মডেলের সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে, যা দারাজের স্থানীয় ব্যবসাকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে। এখন, দারাজ অ্যাপে তাত্ক্ষণিক ক্রয় সুবিধার পাশাপাশি বিনোদনের মাধ্যমে বিক্রেতারা ক্রেতাদের কেনাকাটার পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবেন এবং ক্রেতাদের মাঝে আরও আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হবেন।
দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড’র চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. তাজদীন হাসান জানান, তিনি বিশ্বাস করেন নতুন ফিচারগুলো বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে ও ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, “ডিজিটাল রূপান্তর নির্ধারিত করছে আমরা কীভাবে যোগাযোগ ও ব্যবসা পরিচালনা করবো। ক্রেতাদের পরিবর্তিত অভ্যাস বিবেচনা করে বিশ্বজুড়ে ব্যবসায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটছে। দারাজ বাংলাদেশ এ বিষয়টি প্রাসঙ্গিক মনে করে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপে শপেবল লাইভস্ট্রিম প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। এই নতুন প্রযুক্তি ক্রেতাদের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এমনটাই আমাদের বিশ্বাস।”
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর গত এক বছরে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের টিকিয়ে রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিকল্প প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকেছে, যার ফলে ই-কমার্স খাত দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে। অধিক ব্যবহারকারী এই ইকোসিস্টেমে যোগদানের ফলে ক্রেতাদের নির্বিঘ্ন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদানে দারাজ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অঞ্চলের ই-কমার্সকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করছে।
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি।
দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
নদী বন্দর / পিকে