শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনমুখী রাজনীতি করেতেন। সকল পরিস্থিতিতেই আলোচনার পথ খোলা রাখতেন। জনগণই ছিল তার মূল হাতিয়ার।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দেশপ্রেম ও দূরদর্শিতা এবং কর্মক্ষেত্রে তার প্রয়োগ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বিশেষভাবে উদ্যোগী হোন। বঙ্গবন্ধুর মতো তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরও জাতির পরিপূর্ণ আস্থা রয়েছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলে স্বাধীনতার বীজ বপন করেন। অনেক অভিজ্ঞ নেতার বিরোধীতা সত্ত্বেও তিনি ৬ দফা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার পথে জাতিকে পরিচালিত করেন।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে যুদ্ধ পরিচালনার সকল রূপরেখা ও নির্দেশনা প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে বাংলাদেশ আরও আগে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ড. কামাল নাসের বলেন, এ জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু একটি গভীর আবেগের নাম, ভালোবাসার নাম। ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু কোনো ব্যক্তি ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতি। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠে।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শিল্পখাতের উন্নয়নে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দফতর-সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দফতর-সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী অনলাইনে যুক্ত হন।
নদী বন্দর / পিকে