ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের জনপ্রিয় হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের ঘাতক দুই কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ইরাকের উত্তরাঞ্চলের ইরবিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওই দুই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দি ক্র্যাডেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একটি শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা সূত্র থেকে তারা এই খবর জানতে পেরেছে বলে দাবি করেছে। জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও আল-মুহান্দিসের হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অভিযান চালায়।
ওই অভিযানে মার্কিন সেনাবাহিনীর রেড হর্স ইউনিটের কমান্ডার ৫৫ বছর বয়সী লে. কর্নেল জেমস সি. উইলিস এবং ইসরায়েলের নাহাল ব্রিগেডের কর্মকর্তা ৪২ বছর বয়সী কর্নেল শ্যারন অ্যাজম্যান নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই দুই কমান্ডার কয়েকদিনের ব্যবধানে পৃথক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
পেন্টাগন দাবি করেছে, উইলিস গত ২৭ জুন কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে যুদ্ধ-বহির্ভূত ঘটনায় মারা গেছেন তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপস উইলিসকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২১০তম রেড হর্স স্কয়াড্রনের কমান্ডার বলে চিহ্নিত করেছে। এই স্কয়াড্রনে ১৩০ জন সদস্য রয়েছে যারা উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেও অভিযান চালাতে সক্ষম।
অপরদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, গত ১ জুলাই ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে ফিটনেস প্রশিক্ষণের সময় মারা গেছেন কর্নেল অ্যাজম্যান। ২৫ বছরের সামরিক জীবনে তিনি লেবানন ও গাজা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
তবে এসব রিপোর্ট নাকচ করে নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দ্যি ক্র্যাডেল বলছে, উইলিস ও অ্যাজম্যান দু’জনই নিহত হয়েছেন ইরাকের ইরবিলে। জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও আল-মুহান্দিসের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ওই অভিযান চালানো হয়েছে উল্লেখ করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।