ঢাকার মৃত খাল, কালভার্ট ও ড্রেনের পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে শুরু হয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিন মাসের ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’। প্রথম দিন পান্থপথের বক্স কালভার্ট পরিষ্কারে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে ডিএসসিসি। এখন পর্যন্ত ঢাকার অন্যতম বড় পান্থপথ কালভার্টের তিনটি মুখের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনার সরঞ্জামাদি নিয়ে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে অবস্থান নেন ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল সাড়ে ৯টায় কারওয়ান বাজার মোড়ের পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরে থাকা পান্থপথ কালভার্টের মূল মুখ পরিষ্কারের মাধ্যমে এ কাজ শুরু হয়।
ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পান্থকুঞ্জ পার্ক থেকে শুরু হওয়া কালভার্টটি শেষ হয়েছে ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে। কালভার্টটিতে মোট ২৪টি মুখ রয়েছে। ২৪টি মুখে আটকে থাকা কঠিন বর্জ্য অপসারণের পরও যদি কালভার্টটি প্রবাহমান না হয়, তাহলে কালভার্টের ভেতরে অক্সিজেনসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নামিয়ে দিয়ে তা পরিষ্কার করা হবে।
এরশাদের শাসনামলে প্রবহমান পান্থপথ খালের ওপরে করা এ কালভার্টটি কাঠালবাগান ঢাল সড়ক হয়ে পান্থপথ মোড় ও স্কয়ার হাসপাতালের সামনে দিয়ে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত গেছে। কালভার্টটি পুরোপুরি প্রবহমান করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৬টি খাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামের’ মাধ্যমে ঢাকা শহরের প্রধান খালগুলো দখলমুক্ত করে ব্যবহার উপযোগী এবং নগরীর মধ্যে থাকা ২২শ’ কিলোমিটার ড্রেন ও কালভার্টে জমে থাকা বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার ঘোষণা দেন দুই সিটির মেয়র।
ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল এবং পান্থপথ ও সেগুনবগিচা এলাকায় বক্স কালভার্ট রয়েছে। এসব কালভার্টে দীর্ঘদিনের স্তূপকৃত বর্জ্য জমে শক্ত হয়ে গেছে। তাই বর্জ্য অপসারণে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নেওয়া হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে