ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে দুঃস্বপ্নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন ও জন-আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ কেন্দ্রীয় কমিটি।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন ব্র্যান্ড! কিন্তু তিনি কিসের ব্র্যান্ড সেটাতো বলেননি। আসলে তিনি ভোট ডাকাতির ব্র্যান্ড। গুম-খুনের ব্র্যান্ড। দেশের সংকট নিরসনে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।’
রিজভী বলেন, দেশে একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হবে এটা জন-আকাঙ্ক্ষা। জনগণ যাকে ইচ্ছা ভোট দেবে। কারণ জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। কিন্তু এটা তো সরকার ভুলে গেছে। তারা তো আবারও কেএম নূরুল হুদার মতো কাউকে নির্বাচন কমিশনার বানাবে। ভোট ডাকাতির নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং নিরপেক্ষ নির্বাচন কেমনে হবে?
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, দেশের পত্রিকা ও টিভিতে শুধু একজনেরই খবর। তিনি এখন সম্রাজ্ঞী, রাণী। এভাবে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রী বা কারো এমন প্রচারণা হয় বলে জানা নেই! আজকে তিনি সুলতানা রাজিয়া সেজেছেন।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে গেলো সেটা নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। সেই টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া, কানাডার বেগম পল্লী কেনা হচ্ছে। দুবাইয়ে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল বাংলো কেনা হচ্ছে। কারণ এ দেশে যদি কোনো কিছু ঘটে তাহলে তারা আরব্য রজনীর আলিফ লায়লার মতো সুখে শান্তিতে বিদেশে বসবাস করতে পারবেন। এটাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী রাহেলা আক্তার রঞ্জু প্রমুখ।
নদী বন্দর / এমকে