প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা চার মাস পর সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৬ মে ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪৮৭ জনে।
১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী সাতজন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৪ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এই সময়ে নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ১৭৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১ জন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮২১টি ল্যাবরেটরিতে ২৮ হাজার ৫৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৭ লাখ চার হাজার ৭২২টি।
নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬২ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব ছয়জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রামে তিনজন, রাজশাহীতে একজন ও খুলনা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
নদী বন্দর / পিকে