রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেজতুরী বাজার এলাকায় একটি ছয়তলা আবাসিক ভবনের তিনতলায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি রুমে জমে থাকা গ্যাস থেকে হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত জিতুর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, রান্নাঘরের পাশের ওই রুমের দরজা-জানালা সবসময় বন্ধ থাকতো। ঘটনার সময় রুমে ঢুকে জিতু সিগারেট জ্বালাতে গেলেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ৮৭/এ পূর্ব তেজতুরী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ জিতু (২৮) ওই দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসাইন জানান, জিতুর শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় ইয়াসিন নামের আরও একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরে ৫০ শতাংশ দগ্ধ, অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক জাতীয় কিছুর সন্ধান মেলেনি জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) বলছে, এ বিস্ফোরণ কোনো বিস্ফোরকদ্রব্য থেকে হয়নি।
তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহমুদ খান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় জিতু আমাদের জানিয়েছিলেন, ওই রুমের দরজা খুলে সিগারেট জ্বালাতে গেলেই বিস্ফোরণ ঘটে। রুমটিতে রান্নাঘর থেকে কোনো লিকেজ দিয়ে গ্যাস জমে ছিল। রুমের বাসিন্দারা চোরের ভয়ে সবসময় জানালা বন্ধ করে রাখতো। ঘটনার রাতেও রুমের দরজা-জানালা বন্ধ ছিল।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, বিস্ফোরণটি কোনো বিস্ফোরকদ্রব্যের মাধ্যমে ঘটেনি। প্রাকৃতিক কারণ অথবা গ্যাসের কারণে এ বিস্ফোরণের ঘটনার সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শুক্রবার গভীর রাতে সিটিটিসির উপ-কমিশনার (ডিসি) আবদুল মান্নান বলেন, তেজতুরী বাজার এলাকার একটি বাসায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে বিস্ফোরকদ্রব্য জাতীয় কিছুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের ঘটনাটি অন্য কোনো কারণে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।