দীর্ঘ এক যুগ পর যশোার পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ শার্শা জোনাল অফিসে শুরু হয়েছে দালাল উচ্ছেদ অভিযান। দালাল মুক্ত পরিবেশ সৃস্টি হলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছেন নানা ধরনের চাপে।
গ্রাহক হয়রানী ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছেন সদ্য যোগদানকারী ডিজিএম জাহাংগীর আলম। সকল শ্রেণীর গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে সমানভাবে। গ্রাহক কর্তৃক অভিযোগ পাওয়া মাত্রই “ আলোর গেরিলা টীম” তা সমাধান করছেন দ্রুত।
সুত্র জানায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে প্রদত্ত টার্গেট অনুয়ায়ী সিস্টেম লস=৮.২৩% (টার্গেট ৮.৭৫% এর বিপরীতে) এবং বকেয়ার মাস=০.৮০ মাস (টার্গেট ১.১০ মাস এর বিপরীতে) অর্জন সহ নির্ধারিত এপিএ টার্গেট শার্শা জোনাল অফিস কর্তৃক অর্জিত হয়েছে।
বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা, ৯২,৯০৫ জন, উপকেন্দ্রের সংখ্যা ০৩ টি (১৫,২০,২০ এমভিএ), জুন/২১ মাসে মোট বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় ,৮,৪৬,৯৪,৯৪০.০০ টাকা, এরিয়া অফিস ০৩ টি = বেনাপোল, নাভারন, সাড়াতলা।
পল্লী বিদ্যুত সমিতিরি গ্রাহক নজরুল ইসলাম জানান, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে শার্শা পল্লী বিদ্যুতের সেবার মান ভাল ও প্রশংসার দাবিদার।
বিদ্যুৎ যেহেতু জাতীয় সম্পদ , সেহেতু বিদ্যুৎ চুরিরোধে ডে-অপারেশন ও নাইট অপারেশন চালু করন একটি প্রশংসণীয় উদ্যোগ। তারা গ্রাহক হয়রানী ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছেন পিডিআর এ্যাক্টের আওতায় বিদ্যুৎ বিল যেহেতু জাতীয় রাজস্ব সেহেতু সমিতির সকল গ্রাহককে নিয়মিত বিদ্যুৎ পরিশোধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
পল্লী বিদ্যুত সমিতি-শার্শা অফিসের ডিজিএম জাহাংগীর আলম জানান, দীর্ঘ এক যুগ পর যশোার পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ শার্শা জোনাল অফিসেকে দালালমুক্ত করা হয়েছে। গ্রাহক হয়রানী ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। যে কোন মূল্যে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে।
নদী বন্দর / এমকে