মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সবজি চাষে কৃষকরা লাভবান হলেও এবার ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বাঁধা কপিতে। ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় প্রায় দেড়শ হেক্টর জমির কপির পাতা বাঁধেনি। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটানোর অঞ্চল মেহেরপুরের গাংনীতে সবধরনের সবজি চাষ করা হয়। শীতের আগাম সবজি হিসেবে এ অঞ্চলে সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধা কপির চাষ করা হয়।
তবে এখন বাঁধা কপির ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। বীজ কোম্পানির লোকজন নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় কপির পাতা বাঁধেনি। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে পাতা বাঁধার কথা। অথচ জেবিটি সিডসের রাজাসান কপির বীজ কিনে চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চাষিরা জানান, স্থানীয় বাজার থেকে জেবিটি সিডসের সরবরাহকৃত রাজাসান বীজ ব্যবহার করা হয়। বীজ থেকে গাছ জন্মালেও এখন পাতা বাঁধছে না। অন্যান্য কোম্পানির দেওয়া বীজ রোপন করে তারা বাঁধাকপি বাজারে তুলেছেন অথচ জেবিটি কোম্পানির রাজাসান কপি আজও পাতা বাঁধেনি।
তারা জানান, একেকটি গাছের ৩-৪টি ডগা গজিয়েছে। আবার অনেকটা পাতা কোকড়ানো। সার বীজ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বিঘাপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এ কপি চাষে। অন্তত দেড়শ চাষি এ প্রতারণার স্বীকার।
স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি মেহেরপুরের আল্লাহর দান বীজ ভান্ডারের মালিক দয়াল রানার কাছ থেকে জেবিটি সিডসের বীজ কৃষকদের সরবরাহ করেন। এ বীজ অনেক উন্নতমানের দাবি করে চাষিদের মাঝে বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু এখন ফলন বিপর্যয় ঘটেছে।
তিনি বলেন, বীজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি চাষিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন। তবে প্রধান পরিবেশক দয়াল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, এরই মধ্যে বিষয়টি জেনেছেন এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।