দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় বর্তমানে জ্বালানি সরবরাহে সিস্টেম লস কমাতে ভারত থেকে পাইপ লাইনে ডিজেল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫২০ কোটি টাকা। আর পাইপ লাইন চালু হওয়ার সময় নির্ধারিত আছে ২০২২ সালের জুন নাগাদ।
উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি সরবরাহ করা হয় পার্বতীপুর ডিপো থেকে। সমুদ্রপথে আমদানি করা জ্বালানি যায় নদীপথে অথবা রেলযোগে। পথে চুরি হয় তেল, আছে নানা ধরনের সিস্টেম লস।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল ডিজেল আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাইপ লাইন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভারতের শিলিগুঁড়ি থেকে ১৩১ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে তেল পৌঁছবে পার্বতীপুরের ডিপোতে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক মো. সামসুদ্দোহা বলেন, পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে হবে ১২৬ কিলোমিটার এবং ভারতের অংশে থাকবে ৫ কিলোমিটার।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উত্তরাঞ্চলের তেল সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়বে। বোরো মৌসুমে কৃষকের কাছে ডিজেল পৌঁছাবে সহজে। এই পাইপলাইন প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রেও জ্বালানি সরবরাহ সহজ হবে।
পেট্রোলিয়াম করপোরেশন পরিচালক আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে এই মুহূর্তে তেলের চাহিদার যে সংকট-সমস্যা রয়েছে পাইলাইনের মাধ্যমে সেই সংকট নিরসন হবে।
পাইপলাইন স্থাপিত হলে প্রথম পর্যায়ে বছরে ডিজেল আসবে পাঁচ লাখ টন। পর্যায়ক্রমে এই পরিমাণ ১০ লাখ টনে উন্নীত হবে।
মো. সামসুদ্দোহা বলেন, মালিঘর থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ টন ডিজেল এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আমরা আনতে পারবো।
দেশে বছরে জ্বালনি তেলের চাহিদা ৬৭ লাখ মেট্রিক টন। প্রতি বছরই চাহিদা বাড়ছে। পাইপলাইন দিয়ে জ্বালানি এলে খরচ কমবে অনেকখানি।
নদী বন্দর / জিকে