বাংলাদেশ এখন ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্বের আদর্শ দেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মর্যাদা ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সিপিপির ৫০ বছর পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সিপিপির চারটি ইউনিট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের ভৌগলিক অবস্থায় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই চলতে হয়। এজন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি দুর্যোগের ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবনসহ স্থাপনা করার সময় নিয়ম মেনে করতে হবে। আগুন লাগলে, ভূমিকম্প হলে যাতে উদ্ধার কাজসহ নানা কাজগুলো করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে, অন্য কোনো সরকার এগুলোর দিকে নজর দেয়নি। যতটুকু উদ্যোগ আমরা নিয়েছি, এগুলো জাতির পিতাই শিখিয়ে গেছেন। এখন ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা বিশ্বের আদর্শ দেশ। এই মর্যাদা যেন ধরে রাখতে পারি। আমাদের যেন শুনতে না হয়, যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মারা যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই দেশ আমাদের। যত ঝুঁকি আসুক, উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। করোনার মতো যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস বুধবার (১৩ অক্টোবর)। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর পদার্পণ উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। জাতিসংঘের দুর্যোগ প্রশমন কার্যালয় (ইউএনডিআরআর) এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছে- ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে, কাজ করি একসাথে’।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে এ বছর জাতীয়ভাবে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি, জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি।’
নদী বন্দর / সিএফ