ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের মালিকের মুক্তি হবে কি হবে না সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে ঠিক করবে। কিন্তু আমাদের টাকাগুলো যেহেতু থার্ড পার্টি ফস্টারের কাছে জমা আছে, সেহেতু আমরা চাই টাকাগুলো ফেরত দিতে ফস্টারকে অনুমতি দেওয়া হোক।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কিউকম কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সনি চৌধুরী।
কিউকমের এই গ্রাহক বলেন, আমি বাইক কেনার জন্য কিউকমকে টাকা দিয়েছিলাম। অন্যান্য ই-কমার্স সাইটগুলোকে যখন প্রশাসন ধরছিল, তখন কিউকম তার গ্রাহকদের টাকা ফোস্টার একাউন্ট থেকে ফেরত দেওয়া শুরু করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তার একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা মূল টাকা পেলেই খুশি। অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা আমরা এখানে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন নিজের টাকা পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে।
কিউকমের আরেক গ্রাহক সাইদ আনোয়ার জনি বলেন, ফস্টার বলেছে, আপনাদের টাকা আমাদের কাছে সুরক্ষিতভাবেই জমা আছে। তাই ফস্টার একাউন্টকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা টাকাগুলো ফেরত পাবো।
১৪ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ই-ক্যাবের বৈঠক আছে। সেখানে বিষয়টির সুরাহা চান কিউকমের গ্রাহকরা।
বক্তারা বলেন, সরকারের সামনে এতদিন গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে তারা কারবার করেছে। কিন্তু সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। সেটার খেসারত আমাদের কেন দিতে হবে। আমরা চাই সরকার দ্রুত আমাদের টাকা ফিরিয়ে দিক।
কিউকম গ্রাহকদের ৪ দফা দাবি
১. ফস্টারকে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নজরে রেখে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া।
২.ফস্টারে স্কো সিস্টেম এ কিউকম গ্রাহকদের আটকানো টাকা ৭ দিনের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া!
৩. ফস্টারের সিস্টেম অটোমেশন করা।
৪.আইনি কাঠামোর মাধ্যমে কিউকমকে ব্যবসা পরিচালনা করতে দেওয়া।
নদী বন্দর / পিকে