প্রতিদিন ভোর থেকেই জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে জমজমাট যমুনা পাড়ের আরিচার ঐতিহ্যবাহী মাছের আড়ত। পদ্মা-যুমনা, ইছামতিসহ জলাশয়ের শোল, টাকি, কৈসহ নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় এখানে। স্থানীয়রা ছাড়াও মাছ কিনতে ভিড় করেন অন্যান্য জেলার পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারাও।
শীত মৌসুমে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে মাছ। তাই আড়তেও সরবরাহ ভালো। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় খুশি ক্রেতারা। আর বিক্রি ভালো বলে জানান জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
তবে পুরানো এ আড়তের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ সংস্কারের দাবি আরিচা ঘাট মৎস্য আড়ত কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. ইজ্জত আলীর।
রোববার (৩ জানুয়ারি) ভোরে আরিচা মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি শোল ৩৫০-৪০০ টাকা, টাকি ২৫০-৩০০টাকা, বোয়াল ছোট ৩০০-৫০০টাকা, কাজলী ৫৫০-৬০০টাকা, আইড় ৫০০-৬০০ টাকা, বড় আইড় ১০০০-১১০০ টাকা, বড় বোয়াল ৮০০-৯০০ টাকা, ইলিশ ৯০০-১০০ টাকা, কাতল ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
২০০ বছরের পুরাতন আরিচা মৎস্য আড়তে প্রতিদিন ৫০ জন আড়তদার এবং ৩ শতাধিক পাইকারের সমাগম হয়। বেচাকেনা হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা।
নদী বন্দর / জিকে