জাহাজভাঙা ও জাহাজনির্মাণ শিল্প এবং চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) প্লান্ট স্থাপনে যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক।
রোববার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এই প্রস্তাব দেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরস্ক বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণে বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশে জাহাজভাঙা ও নির্মাণ শিল্পে এবং চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) প্লান্ট স্থাপনে যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে চায়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নাবিকদের তুরস্কের মার্চেন্টশিপে নিয়োগ এবং মেরিটাইম সেক্টরে দু-দেশের সার্টিফিকেট অব কমপিটেন্সি (সিওসি) স্বীকৃতির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দু-দেশের নাবিকদের চাকরির সুযোগ বাড়বে।
বাংলাদেশের জাহাজনির্মাণে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি বিনিময় এবং বাংলাদেশের প্রকৌশলী, পিপিপি এক্সপার্টস ও কারিগরি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত নাবিকদের তুরস্কের মার্চেন্টশিপে নিয়োগ, সিওসির স্বীকৃতি, জাহাজনির্মাণে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি বিনিময় ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের বিষয়ে আশ্বাস দেন। দু-দেশের মধ্যে ১৯৮৬ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক শিপিং চুক্তিপত্রের বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ উপহার দেন।
নদী বন্দর / পিকে