ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আমরা ঢাকা শহরের প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করেছি এবং পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার নিরাপত্তায় সবসময় আমরা পাশে আছি।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর হরিশ্চন্দ্র বোস স্ট্রিটে বাংলাবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি, রামকৃষ্ণ মিশন মঠ, খামারবাড়ি পূজামণ্ডপ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা কমিটির সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ঢাকা মহানগরীতে উদযাপন হচ্ছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি গতকালও বেশ কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ স্থানীয় জনগণ নিরাপত্তার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একসময় আমাদের এ দেশে ১১ হাজার থেকে সাড়ে ১১ হাজার পূজা হতো, কিন্তু গত তিন বছরে এ সংখ্যা বেড়ে এখন প্রায় ৩২ হাজার হয়েছে। আর তা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছা ও পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করার কারণে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন স্মৃতিচারণ করে কমিশনার বলেন, অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের যে স্বপ্ন জাতির পিতা আমাদের দেখিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, আমরাও সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে বাঙালি, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। মানুষ হিসেবে আমাদের পার্থক্য কোথায়? আবহমানকাল থেকে আমাদের দেশে এ পূজা উদযাপন হয়ে আসছে, এ জন্যই তো এটা সার্বজনীন। প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে সকলে মিলে মিশে পূজা উদযাপন করছে। এটা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন কমিটিরি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে