সরকার সারাদেশের সব রেললাইন ব্রডগেজে রূপান্তর করবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেছেন, আমরা মিটারগেজ রেললাইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। সারাদেশের সব রেললাইন ব্রডগেজে রূপান্তর করবো। তখন ১২০-১৩০ কিলোমিটার গতিতে ব্রডগেজে ট্রেন চলবে। এরইমধ্যে আমরা সে প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর পর্যন্ত আরেকটি ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেল স্টেশনে যাত্রী সুবিধা বাড়াতে প্লাটফর্ম উঁচুকরণ, স্টেশন ভবন সংস্কার, এক্সেস কন্ট্রোল এবং প্লাটফর্ম শেড নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, গফরগাঁও রেল স্টেশনের বিদ্যমান রেল লাইনের পাশেই ব্রডগেজ লাইন স্থাপন হবে। ব্রডগেজের জন্য জায়গা অনেকটা বেশি লাগে। এ লাইন স্থাপনের পর গফরগাঁও রেল স্টেশনে একটি ফুটওভার ব্রিজ করে দেবো। যাতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে। এছাড়া বিদ্যমান রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম উঁচু করাসহ আরেকটি শেড আমরা করে দেবো। তখন দুদিক থেকেই যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবে। তখন বয়স্ক, শিশুদের প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে উঠতে কোনো কষ্ট হবে না।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নতুন ইস্যু বেছে নিয়েছে মন্তব্য করে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বিএনপি-জামায়াত যখন দেখেছে, সারাদেশের মানুষ আজ শেখ হাসিনার পেছনে, উন্নয়নের পেছনে, মানুষ এখন শান্তি চায়- ঠিক তখনই উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে তারা চক্রান্ত শুরু করছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং ভাঙচুরের পথ বেছে নিয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। যেমনটি ২০১৩ সালের দিকে তারা করেছিল। আমরা আশা করি, গফরগাঁওয়ের মানুষ এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখে দেবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ময়মনসিংহ-১০ আসনের সাংসদ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
নদী বন্দর / সিএফ