ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন গেলে কাঁপে। পাটাতন ভেঙে গেছে। ওপর থেকে দেখা যায় পানি। ভাঙা পাটাতনে ইট, খেজুর ও তালের পাতা বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনই একটি ব্রিজ রাজবাড়ী পাংশার মৌরাট ইউনিয়নে অবস্থিত। মালঞ্চি ব্রিজ নামে পরিচিত ব্রিজটি বহু বছরের পুরোনো। এখন সংস্কার করেও কাজে আসছে না। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।
পাংশার আজিজ সরদার বাসস্ট্যান্ড টু মৃগী সড়কের মৌরাটে অবস্থিত মালঞ্চি ব্রিজ। সড়কটি পাংশার সঙ্গে কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের যোগাযোগের মাধ্যম। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ট্রাক, নসিমন, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটর সাইকেলসহ শত শত যানবাহন ও স্থানীয়রা চলাচল করেন। বিশেষ করে কৃষিপণ্য পরিবহনে চলাচল করে ভারী যানবাহন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতাযুদ্ধের পর মালঞ্চি ব্রিজটি নির্মিত হয়। কয়েক বছর আগে পাটাতনের কিছু অংশ ভেঙে রড বেরিয়ে আসে। ধীরে ধীরে এটি বাড়তে থাকে। ভাঙা অংশ দিয়ে নিচের পানি দেখা যায়। এটি সংস্কার করা হলেও পরে আবার ভেঙে যায়। ভাঙা জায়গায় সতর্কীকরণ চিহৃ হিসেবে কিছু আবর্জনা ও একটি বাঁশের কঞ্চির সঙ্গে ছোট্ট এক টুকরো লাল কাপড় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্রিজটির রেলিংয়ের কিছু অংশও ভাঙা দেখা গেছে।
স্থানীয় আজিম উদ্দিন শেখ, মুন্সি জাহিদুল হাসান সবুজ ও নিতাই শীল বলেন, ভাঙা ব্রিজটিতে মাঝে মধ্যেই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
ভ্যানচালক কালাম শেখ, অটোরিকশাচালক বকুল, নসিমনচালক আব্দুর রাজ্জাক ও ট্রাকচালক খবির মোল্লা বলেন, তারা দিনরাত এ রাস্তায় গাড়ি চালান। ব্রিজটির ওপর দিয়ে গেলে কাঁপতে থাকে। রাতে তারা আরও ভয় নিয়ে চলাচল করেন।
রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বিমল কুমার দাস বলেন, মৌরাটের মালঞ্চি ব্রিজটি নতুন করে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাটি পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন ডিজাইনের কাজ চলছে। দ্রুত ট্রেন্ডার দিয়ে ব্রিজের কাজ শুরু হবে।
নদী বন্দর / এমকে