শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২৪ ঘণ্টায় (৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২৩টি ফ্লাইটে চার হাজার ৮১ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে চারটি ফ্লাইটে ফেরা ১৩ জনকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট ৫৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
যাত্রীদের কেউ কেউ নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফার সংক্রমণরোধে বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরনের ভাইরাস ধরা পড়ায় সারাবিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহুদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
নতুন ধরনের করোনাভাইরাস কোনো যাত্রীর মাধ্যমে যাতে দেশে আসতে না পারে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তাদের নির্দেশনা অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের কাছে করোনামুক্ত সনদ থাকলেও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। আগে সরকারি সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুন নিয়মে প্রবাসফেরত যাত্রীরা চাইলে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত সাতটি আবাসিক হোটেলের যে কোনোটিতে থাকতে পারবেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো যাত্রীদের মধ্যে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে একজন, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ ফ্লাইটে তিনজন, কাতার এয়ারলাইন্সের কিউআর-৬৩৮ ফ্লাইটে চারজন এবং কাতার এয়ারলাইন্সের কিউআর-৬৪০ ফ্লাইটে ৫ জন এসেছিলেন।
এর আগে ১ জানুয়ারি ১৮ জন, ২ জানুয়ারি ২২ জনকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘বেবিচক ১৫ দিনের জন্য যুক্তরাজ্য থেকে আসা যেকোনো যাত্রীর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা দেয়। করোনার সংক্রমণরোধে শাহজালালে কর্তব্যরত সকল সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।’
নদী বন্দর / এমকে