গাড়ির সামনে ‘ডিজেলচালিত’ লেখা স্টিকার লাগানো। এ কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তবে ওই গাড়িকেই পাম্পে গিয়ে সিএনজি নিতে দেখা গেছে।
বুধবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাবতলীর এসপি ফিলিং স্টেশন থেকে সিএনজি নেয় গাবতলী থেকে ডেমরাগামী অছিম পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৮৩২৬ ও ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৮৩০৯ নম্বরের দুটি বাস। যদিও বাস দুটির সামনের গ্লাসে ‘ডিজেলচালিত’ লেখা স্টিকার টানানো ছিল।
এ বিষয়ে ওই ফিলিং স্টেশনে জিজ্ঞাসা করা হলে সেখান থেকে এক কর্মী জানান, বাস দুটোর একটি ১১ দশমিক ৫৪ লিটার ও আরেকটি ১১ লিটার সিএনজি নিয়েছে।
জ্বালানি নিয়ে গাবতলী মোড় ঘুরেই বাসগুলো যাত্রী নেওয়া শুরু করে।
অছিম পরিবহনে ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৮৩২৬ নম্বরের বাসটির চালকের সহকারী এরশাদ বলেন, ভাড়া বেড়েছে ৫ টাকা। গাবতলী থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক ২৫ টাকা ছিল, এখন ৩০ টাকা হয়েছে। এভাবে সব স্টেশনে ৫ টাকা বেড়েছে।
বাস কিসে চলে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, স্টিকার লাগানো আছে, দেখেন সামনে। বাস চলে ডিজেলে। কিছুক্ষণ আগেই পাম্প থেকে সিএনটি নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
তিনি উল্টো বলেন, ‘সিলিন্ডারই তো নাই, গ্যাসে চলবো কেমনে?’
এ বিষয়ে চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো ঝামেলা কইরেন না। বাস থেকে নামেন।’
এ সময় গাড়ির মালিকের নম্বর চাওয়া হলে তা দেননি বাসটির চালক ও তার সহকারী।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র আরাফাত বলেন, গ্যাসের গাড়ি এক রাতের ব্যবধানে ডিজেলচালিত হয়ে গেল! দেখার কেউ নেই। যারা এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত, তাদের সাজা হওয়া উচিত।
ফিলিং স্টেশন সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, রাতারাতি গ্যাসে চলা কোনো গাড়ি তেলের হয়নি। বেশিরভাগ বাস সিএনজিতেই চলছে।
জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর পর পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে রাজধানীতে বাসের ভাড়া ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয় ডিজেলচালিত বাসের ক্ষেত্রে। সিএনজিচালিত বাসে বর্ধিত ভাড়া প্রজোয্য না হলেও সব বাসেই নেওয়া হচ্ছে বর্ধিত ভাড়া।
যদিও বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ দাবি করেছেন, ঢাকা শহরে চলাচল করা ছয় হাজার বাস-মিনিবাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত।
নদী বন্দর / পিকে