তামাক কোম্পানিকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করলে তা প্রধানমন্ত্রীর তামাকবিরোধী স্লোগানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবে মন্তব্য করে এসব কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী চার সংগঠন।
একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানিয়েছে তারা।
বুধবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তামাকবিরোধী সংগঠন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, প্রত্যাশা, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, এইড ফাউন্ডেশনের যৌথ অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮(১) এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ তফসিল ১ ও ৫ অনুসারে স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা উপেক্ষা করে চলছে তামাক কোম্পানিগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর থাকলে কোম্পানিগুলোর প্রধান ভোক্তা তৈরি বাধাগ্রস্ত হবে। নিবন্ধন ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে একটি এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি সীমিত করা সম্ভব হবে। এ কারণে এই গাইডলাইন বাতিলে তামাক কোম্পানিগুলো মরিয়া হয়ে উঠেছে। নীতিনির্ধারকদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তাদের এই ধৃষ্টতা এক ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানির কূটকৌশল বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। কারণ তারা সরকারের পদক্ষেপকে ধুলায় মেশাতে বদ্ধ পরিকর।
তামাক কোম্পানিগুলো জনস্বাস্থ্যকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, একে রক্ষা করার দায়িত্ব পালনের জন্য তামাক কোম্পানির সঙ্গ পরিহার একান্তভাবে কাম্য। সেই সঙ্গে নীতিমালা জোরালোভাবে কার্যকর করে এই শত্রুকে দমন করা এখন অপরিহার্য। তামাক কোম্পানিকে কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া মানেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া।
তামাকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
নদী বন্দর / এমকে