ঢাকা মহানগর এলাকায় মাত্র ১৯৬টি বাস-মিনিবাস তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চলে দাবি করে সেসব বাসের তালিকা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তালিকা প্রকাশ করেন তিনি।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, ঢাকা মহানগর এলাকায় ১২০টি পরিবহন কোম্পানির ছয় হাজার বাস যাত্রী পরিবহন করে। এর মধ্যে মধ্যে ১৩টি কোম্পানির ১৯৬টি বাস-মিনিবাস সিএনজিচালিত। এই ১৩টি কোম্পানির মধ্যে গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ৪০টি, অনাবিল সুপার লিমিটেডের পাঁচটি, প্রভাতী-বনশ্রী পরিবহন লিমিটেডের ১২টি, শ্রাবণ ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ৩০টি, আসিয়ান ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ২০টি, মেঘালয় ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের পাঁচটি, হিমালয় ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ১৪টি, ভিআইপি অটোমোবাইলস লিমিটেডের দুটি, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ২৭টি, শিকড় পরিবহন লিমিটেডের আটটি, বিকল্প অটো সার্ভিস লিমিটেডের একটি, গাবতলী লিংক মিনিবাস সার্ভিসের ১১টি, ৬ নং মতিঝিল বনানী কোচ লিমিটেডের ২১টি বাস সিএনজিতে চলে, যা ঢাকায় চলাচল করা মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব জানান, আগামী তিনদিনের মধ্যে ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগানো হবে। তখন নিতে হবে বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া। অর্থাৎ আগের তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নেবে সিএনজিচালিত গাড়ি। অতিরিক্ত ভাড়া যেন নিতে না পারে সেজন্য মালিক-শ্রমিকদের সমন্বয়ে ১১টি ভিজিল্যান্স টিম মাঠে থাকবে।
নদী বন্দর / বিএফ