সোমবার (০৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা-সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় এ তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
সভায়, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু, সাবেক চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহা, সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং বিএসএফআইসির আওতাধীন চিনিকলগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজম সভাটি সঞ্চালনা করেন।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো লাভজনক করতে বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চিনিকলগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় চিনিকলগুলোর যে আধুনিকায়ন হচ্ছে, সেই ধারাকে সমন্বিত রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শিল্পমন্ত্রী, আখ ক্রয় ও সরবরাহ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে দ্রুততর করার জন্য চিনিকলগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী যোগ্য ও দক্ষ কর্মকর্তাকে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আখ ক্রয় যাতে সঠিক হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি নিরূপণের জন্য অডিট করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যসম্মত দেশীয় আখের চিনি ব্যবহারের জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় জানানো হয়, আখ মাড়াই স্থগিত থাকা চিনিকলগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আখ ক্রয় করা হচ্ছে। চিনিকলগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের বকেয়া বেতন শিগগির পরিশোধ করা হবে। আরও জানানো হয়, চিনিকলগুলোতে আখ থেকে চিনি উৎপাদনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা চিনিকলগুলোর আখ মাড়াই কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন। এ সময় আখ চাষিদের কাছ থেকে আরও দ্রুত আখ ক্রয় ও চিনি উৎপাদনের রিকভারি রেট ৮ (আট) শতাংশে রাখার তাগিদ দেওয়া হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, আখ থেকে চিনি উৎপাদন কম হওয়ায় লোকসান সত্ত্বেও কৃষকদের কথা চিন্তা করে চিনিকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ায় আখ চাষিরাও উপকৃত হচ্ছে। সভায় অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপনসহ নতুন কৃষিজ পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বিএসএফআইসির সম্পদকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
শিল্প সচিব বলেন, চিনিকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রমে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে চিনি উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
নদী বন্দর / পিকে