বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে বলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (০৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা হয়েছে। ফলে তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাবে। সেরাম ইনস্টিটিউট যে বক্তব্য দিয়েছে এটি তাদের নিজস্ব বক্তব্য।
এর আগে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের টিকা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে সকালে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা।
এদিকে, দুপুরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, টিকার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেহেতু জিটুজি (সরকারের সাথে সরকারের) চুক্তি হয়েছে সেহেতু বাংলাদেশের যথাসময়ে টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার আমাকে জানিয়েছেন, আমরা যে চুক্তি করেছি, সেখানে আর্থিক লেনদেন হয়েছে দুই সরকারের মধ্যে। ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে, আমাদের ব্যাপারে না। হাইকমিশন থেকে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে।
জরুরি সংবাদ সম্মেলনটিতে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছে, তা ব্যাহত হবে না। সকল দেশের জন্য তারা এই বার্তা দিয়েছে যে, আগে ভারতের জন্য হবে, তারপরে অন্য দেশে যাবে। তবে আমরা আশ্বস্ত যে, এটা কোনো সমস্যা হবে না, সমাধান হয়ে যাবে। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর জানাবে, যে আমরা কবে পাবো। তবে আমরা এখনও আশ্বস্ত থাকতে পারি যে, আমাদের চুক্তি অনুযায়ী আমরা ভ্যাকসিন পাবো।
নদী বন্দর / পিকে