ঢাকা থেকে জয়দেবপুর রোডে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। বাস ভাড়াও বাড়তি নেওয়া হচ্ছে—টঙ্গী ব্রিজ ভাঙায় এ চাপ বেড়েছে বলে মনে করছেন স্টেশন মাস্টারসহ যাত্রীরা। জয়দেবপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ৪ থেকে ৫ গুণ।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কমলাপুর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর যাওয়ার সময় মহুয়া কমিউটার ট্রেনে গিয়ে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালেই মহুয়া ট্রেনের টিকিট কাটতে দীর্ঘলাইন। টিকিট কেটে ট্রেনে উঠছেন মানুষজন। কমলাপুর থেকেই কোনো কোচের সিট ফাঁকা নেই। কোনোটায় আবার মানুষ দাঁড়িয়েও আছেন। এমনটা আগে মাঝে মধ্যে দেখা যেতো। গত কয়েকদিন ধরে তা বেড়েছে বলেই জানা যায়।
কথা হয় গাজীপুরের শ্রীপুরের যাত্রী নোয়াখালীর বাবুল মোল্লার সঙ্গে। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ীতে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। যাচ্ছেন শ্রীপুরে নাতিনের বাড়িতে। টঙ্গী ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ট্রেনে যাচ্ছেন। এছাড়া ব্রিজ ভাঙার কারণে বেড়েছে বাসভাড়াও।
তিনি আরও জানান, গুলিস্তান থেকে শ্রীপুরে বাসভাড়া ১২০ টাকা। ট্রেনে লাগে ৩০ টাকা। সময়ও লাগে কম। বাসের ভাড়া দিয়ে কয়েকবার আসা-যাওয়া যায়। এছাড়া যানজট থাকলেতো কথাই নেই। ট্রেনে ঝামেলাও কম সময়ও কম লাগে। তাই ট্রেনেই যাই।
ময়মনসিংহগামী আরেক যাত্রী মো. সজলু রহমান বলেন, ট্রেনের সেবা ভালোই। সমস্যা হলো মানুষ বেশি। টঙ্গী আজমপুরে ব্রিজ ভাঙায় ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
অন্যদিকে, জয়দেবপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সোহরাব হোসেন জানান, ৪ থেকে ৫ গুণ যাত্রী বেড়েছে। টিকিট না পেয়ে অনেকেই যাচ্ছেন টিকিট ছাড়া। শুক্র ও শনিবার সেই চাপ আরও বেশি থাকে।
নদী বন্দর / এমকে