দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে পাথর আমদানি। ফলে দাম বেড়েছে টনপ্রতি দেড়শ থেকে দুশ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ভারত থেকে কমেছে পাথর আমদানি। এ কারণেই প্রভাব পড়েছে দামের ওপর।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ বড় প্রকল্পে ব্যবহৃত পাথরের একটি বড় অংশ আসে এই বন্দর দিয়ে। ভারতীয় পাথর ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করেই কমেছে পাথর আমদানি। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ১শ ট্রাক পাথর আমদানি হতো। কিন্তু এখন গড়ে অর্ধেকে নেমেছে আমদানি।
হিলি বন্দরের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪৬ হাজার ৫১১ মেট্রিকটন পাথর আমদানি হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে হিলিবন্দরে পাথর নিতে আসা সোহেল মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, বন্দরে ভালো পাথর নেই, ফলে কেনা সম্ভব হলো না। আগেও এই পথ দিয়ে পাথর ক্রয় করেছি। এখন যে পাথর পাওয়া যাচ্ছে তা আগের চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে নিতে হচ্ছে। পাথরের দামও বেশি।
স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স পলাশ ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম পলাশ জানান, বন্দরে প্রতিদিন ২শ গাড়ি পাথরের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সংকট দেখিয়ে পাথর সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের পাথর ব্যবসায়ীসহ ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়েছেন।
হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় পাথর আমদানি কমে গেছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চাহিদামতো পাথর সরবরাহ করবেন এমটায় আশা।
নদী বন্দর / এমকে