অবশেষে ভারতের লোকসভায় পাস হলো বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। শীতকালিন অধিবেশনের শুরুতেই আলোচনা শুরু হয় কৃষি আইন সংক্রান্ত বিলগুলো নিয়ে। এক পর্যায়ে হইচই শুরু হলে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
পরে ফের অধিবেশন শুরু হতেই ‘কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১’ পেশ করেন দেশটির কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। এরপর সেটি পাশ হয়। এসময় বিরোধীরা কৃষি আইনের ওপর আলোচনার যে দাবি করেছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে সরকার পক্ষ।
এদিকে, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, সোমবারই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল রাজ্যসভায় পেশ হবে।
২৫ দিন ধরে চলবে এই শীতকালিন অধিবেশন। এতে ৩০টির মতো বিল উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। অধিবেশনের শুরুর দিনে বাতিল করা হলো বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।
এর আগে ১৯ নভেম্বর বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত প্রায় এক বছর ধরে ওই আইন নিয়ে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে কৃষক বিক্ষোভ শুরু হয়। কৃষকদের আন্দোলন বিক্ষোভে ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও। তবুও রাজপথ ছাড়েননি কৃষকরা। দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে তবে বিষয়টির সুরাহা হয়নি। করোনা মহামারির মধ্যেও নিজেদের চেষ্টায় আন্দোলন চালিয়ে গেছেন কৃষকরা।
কৃষি এই নতুন আইনের ফলে লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন কৃষকরা। ফসল নিয়ে তাদের দর কষাকষির ক্ষমতা কমে যাবে। প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা। পাশাপাশি, বেসরকারি এবং বড় বড় সংস্থাগুলোর কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তাও খুলে যাবে। এসব ইস্যুতে পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ প্রায় সবকটি রাজ্যের কৃষকরা একাট্টা হয়েছিলেন। অবশেষে তাদের সেই আন্দোলন সফল হতে চললো।
যে কৃষি আইন কার্যকর করা নিয়ে অনড় ছিল ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। সেই অবস্থান থেকে সরে এলো তারা।
সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার
নদী বন্দর / পিকে