চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা ঢেকে দিয়ে ২০৪ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এবার ঢাকার টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও একই দায়িত্ব নিতে হচ্ছে তাদের। ইনিংস পরাজয় যখন চোখরাঙানি দিচ্ছে, তখন দলকে খানিক স্বস্তিই এনে দিয়েছেন মুশফিক-লিটন।
পাকিস্তানের করা ৩০০ রানের জবাবে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৮৭ রানে। ফলে তাদের ফলোঅন করায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৫ রানেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম চার ব্যাটার। সেখান থেকে মুশফিক ও লিটন আর বিপদ ঘটতে দেননি।
ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭২ রান। পাকিস্তানের চেয়ে এখনও ১৪১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ইনিংস পরাজয় এড়াতে করতে হবে ১৪১ রান। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মুশফিক-লিটন যোগ করেছেন ৪৭ রান।
ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান মাহমুদুল জয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম রান। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ছয় রানে হাসান আলির বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান তিনি। পরের ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন ২ রান করা সাদমান।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের আউটটি নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। হাসান আলির ভেতরে ঢোকা বলে লেগ বিফোর হন মুমিনুল। রিপ্লে’তে দেখা যায় বলের সঙ্গে ব্যাট ও প্যাডের আঘাতের সময় প্রায় কাছাকাছি। আবার বল ঠিক ব্যাটেই লেগেছে কি না তা স্পষ্ট বোঝাও যায়নি।
কিন্তু মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ায় এবং শতভাগ নিশ্চিত প্রমাণ না থাকায় সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি টিভি আম্পায়ার। ফলে ৭ রানে ফিরতে হয় মুমিনুলকে। এরপর শাহিন আফ্রিদির বাউন্সারে গালিতে ফাওয়াদ আলমের হাতে ধরা পড়েন ৬ রান করা শান্ত।
এরপর সেশনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন মুশফিক ও লিটন। তারা দুজন মিলে ১৪.৫ ওভারে যোগ করেছেন ৪৭ রান। যেখানে বেশি সচল ছিল লিটনের ব্যাট। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৪৬ বলে ২৭ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে ৫২ বলে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিক।
নদী বন্দর / সিএফ