1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
জেকব ব্লেককে গুলি করেও নিস্তার পেল পুলিশ - Nadibandar.com
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১১০ বার পঠিত

গত বছরের আগস্টে জেকব ব্লেক নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গুলি করার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ওই ঘটনার শুনানিতে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। ফলে অপরাধ করেও পুলিশ কর্মকর্তারা নিস্তার পেয়ে গেলেন।

ঘটনার দিন উইসকনসিনের কেনোশায় জেকব ব্লেক তার গাড়িতে ওঠার মুখে পুলিশের গুলিতে আহত হন। তার পিঠে একাধিক গুলি লাগে। তিনি সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাকে গুলি করার পরেও শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মী রাস্টেন শেসকির বিরুদ্ধে কোনো চার্জ গঠন করা হয়নি।

গত ২৩ আগস্ট ব্লেককে গুলি করার ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। সে সময় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন আরো জোরদার হয়। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিও ওঠে। তাকে যখন গুলি করা হয় তখন তার তিন সন্তানও তার সঙ্গে ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে নিরস্ত্র জেকবকে পুলিশের সেই গুলি করার দৃশ্য দেখে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মাথা নিচু করে রাস্তায় পার্ক করা নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। পরনে সাদা হাতাকাটা গেঞ্জি আর কালো হাফপ্যান্ট। তার পেছনে পিস্তল হাতে দুই পুলিশ অফিসার।

এক পর্যায়ে জেকবের গেঞ্জি ধরে টানতে শুরু করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। কোনো বাধা দেয়ার চেষ্টা করেননি জেকব। তারপর তিনি ড্রাইভিং সিটের দিকে গাড়ির দরজা খুলতেই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। পরবর্তীতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।

কেনোশার পুলিশ ইউনিয়নের দাবি, জেকবের কাছে ছুরি ছিল। পুলিশের নির্দেশও তিনি মানেননি। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, পুলিশ তার গাড়িতে ছুরি দেখেছিল। কিন্তু ব্লেক কাউকে হুমকি দিয়েছেন, এমন কথা তারা বলেননি।

মঙ্গলবার কেনোশা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মাইকেল গ্রেভলি বলেন, প্রসিকিউটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, পুলিশ সদস্য রাস্টেন আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়েছিলেন। ব্লেক যখন পুলিশের মুখোমুখি হন, তখন তার কাছে ছুরি ছিল।

ব্লেকের আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেছেন. এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা আরো কমবে। জেকবের চাচা জাস্টিন ব্লেক বলছেন, উইসকনসিন প্রশাসন ও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আমাদের মুখে চড় মারলেন। যা ঘটেছে তা বর্ণবাদের প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। আর ব্লেক পরিবারের আইনজীবীর মন্তব্য, রাস্টেনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছিল। এটা থেকে মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা তিন ধরনের। একটি কালো ও বাদামি মানুষের জন্য, একটি পুলিশ কর্মীদের জন্য এবং একটি বাকি আমেরিকানদের জন্য।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com