নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, এখন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব নয়। এজন্যই সংলাপের আয়োজন হয়েছে। আগে সংলাপে আসুন, পরে নির্বাচন কীভাবে হবে না হবে তা নিয়ে সংসদে কথা বলতে পারবেন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও মহান বিজয়ের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে থেকে যারা পাকিস্তানের ভাবাদর্শে বিশ্বাসী তারা পাকিস্তানের সর্মথক, তারা বাংলাদেশের শত্রু। পাকিস্তানের ভাবাদর্শে বিশ্বাসীদের বয়কট করতে হবে। এরা সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে। এদের বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সংলাপের আয়োজন করেছেন। এতে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে করছেন। এখন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব নয় বলে সংলাপের আয়োজন করেছেন। সংলাপের মাধ্যমে সবার মতামত নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন করা হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে অংশ নেওয়া এবং কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপি এখনো অংশ নেয়নি। বিএনপি আসলে ক্ষমতার প্রতিশ্রুতি খোঁজে। দেশের মধ্যে থাকা একশ্রেণির সুশীল সমাজ বিএনপিকে তাল দিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে সংসদে কথা বলার সুযোগ পাবেন। তার আগে কমিশন গঠন করতে হবে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে না। বিএনপি আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি তাদের বলবো- বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ নিয়ে আপনাদের কোনো কথা থাকলে তা বলতে পারেন। বিএনপিকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে আসুন, পরে নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে সংসদে কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ আছে। সংসদে আপনাদের সংসদ সদস্য আছে, তারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারবে।
তিনি বলেন, বিএনপি তো দেশের আইন মানে না, দেশের নিয়ম মানে না। তাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইদানিং আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। তিনি যেভাবে উল্টোপাল্টা বলে যাচ্ছেন, না জানি কবে বলেই ফেলেন- যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। কারণ, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের জন্য বিএনপির মায়াকান্না হয়।
আইইবি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন, ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুরসহ আইইবি নেতারা।
নদী বন্দর / পিকে