হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও সরবরাহ নেই স্থানীয় বাজারে। এদিকে হঠাৎ করে স্থানীয় বাজার ও বন্দরে বেড়েছে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়ে ৩০-৩২ টাকা। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজে কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
চাহিদার তুলনায় আমদানি কমের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেশি চাচ্ছে বলে অভিযোগ পাইকারদের, অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের গুণগতমান ও চাহিদা ভালো থাকায় দাম বেড়েছে বলে বলছেন খুচরা বিক্রেতারা।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা ফারুক হোসেন জানান, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। কারণ দেশি পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় এখন এসব পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ভোক্তাপর্যায়ে। আর চাহিদা থাকায় দামও একটু বাড়ছে দেশি পেঁয়াজের।
অন্যদিকে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার রাসেদ, মেহেদী হাসান, আলমসহ বেশ কয়েকজন জানান, হিলি বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে আসলাম। আমদানি কমের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেশি চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে আমাদের লোকসান গুনতে হবে কারণ বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক কম এবং গুণগতমানও ভালো। তাই পেঁয়াজ না ক্রয় করে ফিরে যাচ্ছি।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজগুলো বেলুরী ও নাসিক জাতের। এ পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় বেশি দামে আমাদের কিনতে হয়েছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল আলম জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। চলতি সপ্তাহের ৪ কর্মদিবসে ১১টি ভারতীয় ট্রাকে ২৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে