1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সহজেই চাষ করা যায় লতিরাজ কচু - Nadibandar.com
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৩২ বার পঠিত

আমাদের দেশে লতিরাজ কচু অনেক জনপ্রিয় সবজি। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও লতি রপ্তানি করা হচ্ছে। কচুর লতি মূলত পানি কচুই। লতিরাজ কচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। উৎপাদনের দিক দিয়ে মুখীকচুর পরই কচুর লতির স্থান।

বাজারে প্রতি কেজি লতি ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হয়। লতিরাজ কচু চাষ করে খুব সহজে লাভবান হওয়া যায়। আসুন জেনে নেই লতিরাজ কচুর চাষাবাদ পদ্ধতি।

কচুর লতি উষ্ণ জলবায়ুতে ভালো জন্মে। কচুর লতি চাষের জন্য জমি হতে হবে মাঝারি নিচু যেখানে বৃষ্টির পানি জমে। লতি কচু অল্প আলো বা ছায়াতেও ভালো জন্মাতে পারে। প্রখর রোদে ভালো ফলন হয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কচুর লতির চাষ করা যায় তবে পলি দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে কচুর লতি চাষ করা উত্তম।

 

আমদের দেশে বেশ কয়েক প্রকার কচুর লতির জাত রয়েছে। এসব জাতের গাছ ছোট, পাতা ছোট ও চিকন সরু ও লম্বা লতি উৎপাদন করা হয়। উন্নত জাতের লতি লম্বা ও মোটা এবং গিটযুক্ত, খাটো ও মোটা, শাসাল ও মাংসল দ্রুত গলে যায়।

বারি পানি কচু ১ ও বারি পানি কচু-২ এ দেশে উদ্ভাবিত পানিকচুর দুটি উন্নত জাত। এ দুটি জাত লতি উৎপাদনের জন্য ভালো জাত।

কচুর লতি চাষ করার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে জমির লতি তোলা শেষ হবার আগেই লতির আগায় জন্মানো চারা সংগ্রহ করতে হবে। তারপরে সংরক্ষিত চারাগুলোকে আলাদা কোনো জায়গায় পুঁতে রাখতে হবে। জমিতে এসকল চারা পুনরায় শীতের আগে লাগালে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসে এসব গাছে লতি আসে।

কচুর লতি চাষ করার ক্ষেত্রে প্রথমে জমি তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য জমিতে ৩ থেকে ৪টি চাষ দিয়ে মাটি সমান করে নিতে হবে। কচুর লতির চারা জমিতে সারিবদ্ধভাবে লাগাতে হবে। সারিতে চারা লাগালে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৩৮০০০ চারা লাগবে।

 

কচুর লতির চারা হিসেবে গুড়িচারা লাগানো হয়। অক্টোবর মাসে চারা লাগানোর উপুযুক্ত সময় এসময় চারা লাগালে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে লতি পাওয়া যায়।

কচুর লতির ভালো ফলন ও বেশি ফলন পেতে হলে জমিতে অবশ্যই সার দিতে হবে। কচুর লতি চাষ করার জন্য বিঘাপ্রতি ৫০০ কেজি গোবর, ২৫ কেজি ইউরিয়া, ১৮ কেজি টিএসপি ও ২৫ কেজি এমওপি সার দিতে হবে। কচুর লতি চাষ করার সময় সব সার একত্রে দেয়া যাবে না। প্রাথমিক পর্যায়ে ইউরিয়া ব্যতিত সব সার জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।

চারা লাগানোর ২০ থেকে ২৫ দিন পরে জমিতে ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হবে। কচুর লতি চাষ করার ক্ষেত্রে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা থাকতে হবে। চারা লাগানোর সময় জমিতে বদ্ধ পানি না থাকলে প্লাবন সেচ দিয়ে জমি কাদা করতে হবে। জমি শুকিয়ে গেলে পানি কচু গাছের ক্ষতি হয়। তাই বৃষ্টি না হলে জমিতে প্রবাহমান পানি না থাকলে সেচ দিতে হবে।

কচুর লতির জমিতে লতি কচুর গোড়ায় সব সময় পানি থাকতে হবে এবং দাঁড়ানো পানি মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করতে হবে। জমিতে সবসময় পানি থাকলে আগাছার উপদ্রব কম হয়। আগাছার মধ্যে শামুক আশ্রয় নেয় ও কচুর লতি গাছে উঠে পাতা খায়। তাই এসব আগাছা হাতে টেনে তুলে পরিষ্কার করে দিতে হবে।

 

আগাম কচুর লতি চাষ করা হলে ক্ষুদ্র লাল মাকড় বা রেড স্পাইডার মাইট কচু পাতার ক্ষতি করতে পারে।
কচুর লতির ক্ষেত মাকড় আক্রমণ করলে পাতার সবুজ রং নষ্ট হয়ে বিন্দু বিন্দু শুকনো দাগে ভরে যায়। মাকড় পোকা দূরীকরণে পানিতে গুঁড়ো সাবান ও ওমাইট বা ভার্টিমেক মাকড়নাশক মিশিয়ে পাতার উল্টো পাশে স্প্রে করতে হবে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় কচুর লতির ক্ষেতে লেদা পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি স্প্রে করে লেদা পোকা দমন করা যায়।

কচুর লতি যে কোন বয়সেই গাছ থেকে তুলে খাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে ছোট সাইজের লতি গাছ থেকে তুললে লতির ফলন কমে যায়। তাই ক্ষেতের সবচাইতে বড় বড় আর মোটা মোটা লতিগুলো তুলতে হবে।

নদী বন্দর / সিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com