তাপমাত্রা বেড়ে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে আওতা কমেছে শৈত্যপ্রবাহের। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। একই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট- এই চার বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একদিন আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি। একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি। ফলে রাজধানীতে শীতের অনুভূতি অনেকটাই কমে গেছে।
সোমবার সীতাকুণ্ড অঞ্চলসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল জেলা এবং রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ ও মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং অন্যত্র তা সামান্য বাড়তে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
নদী বন্দর / জিকে